বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হলে উইকেট নিয়ে প্রতিবেদন এবং সমালোচনা চলে আসে। বিশেষ করে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে খেলা ম্যাচগুলোতে ব্যাটারদের জন্য রানের সংগ্রাম হয়। ফলে বেশিরভাগ ম্যাচই লো স্কোরিং হয়ে থাকে। তবে এবারের বিপিএল ব্যতিক্রম। ঢাকা পর্বে ব্যাটাররা রীতিমতো রান উৎসব করেছেন, এবং সিলেটে একই ধারা বজায় রয়েছে। বিপিএলকে ঘিরে অব্যবস্থাপনার কথা বলা হলেও উইকেট নিয়ে ক্রিকেটাররা বেশ খুশি। দর্শকরা চার ও ছক্কার ফুলঝুরি দেখে আনন্দিত হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
আগে বিপিএলে ১৩০-১৪০ রানের স্কোরকে চ্যালেঞ্জিং মনে করা হতো, কিন্তু এবারের বিপিএলে ২০০ রানও নিশ্চিত নয়। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলের দেয়া ২০৬ রানের টার্গেট রংপুর রাইডার্স ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায়। এর আগে ঢাকা পর্বেও প্রতিটি ম্যাচে রান বেশ উঠে গেছে। ৩ জানুয়ারি মিরপুরে বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল, যেখানে চট্টগ্রাম কিংস রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রান সংগ্রহ করেছিল।
গতকালের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীর ১৬৮ রানকে এখন মামুলি সংগ্রহই মনে হয়। ফরচুন বরিশাল তামিম ইকবালের ৪৮ রানে ৮৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের পর ১৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই রাজশাহীর সংগ্রহ টপকে গেছে।
এবারের বিপিএলে রান বন্যার কারণ ভালো উইকেট এবং বোলারদের মান। তবে তামিম ইকবাল আরও একটি বিষয় নজরে এনেছেন, যা হল বাউন্ডারির আকার। তার মতে, বাউন্ডারি বড় হলে রান আরও বাড়বে। তামিম জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেখানে বাউন্ডারি ৬৫-৭০ মিটার থাকে, সেখানে ৫৮-৬০ মিটার বাউন্ডারি কেন হবে? তিনি কিউরেটরদের প্রশংসা করেছেন, কারণ তারা দারুণ উইকেট তৈরি করেছেন।
ফরচুন বরিশাল এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতে জয় পেয়েছে। ৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।